অনেকেই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন । আর তাতে ত্যাক্ত ও বিরক্ত এমন কি অসহ্য হয়ে ওঠেন তার সঙ্গেই ঘুমিয়ে থাকা পাশের মানুষটি। হতে পারে সে আপনার পরম বন্ধু অথবা আপনার জানের জান । এটা অনেক বড় একটা সমস্যা কিন্তু যিনি নাক ডাকান তার আসলে কিছুই করার থাকেনা। তিনি বুঝতেও পারেন না। আমরা অনেকেই হয়তো তার উপর রাগ করি কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আসলে তার কি করার আছে ? কারন সে তো ঘুমিয়ে। যাই হোক নাক ডাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে যিনি নাক ডাকছেন তার জন্যই। তাই জানা থাকা প্রয়োজন নাক ডাকা রোধের উপায়। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যেতে পারে। এগুলো হল......
ওজন কমানো : স্থূলতার কারণে শুধু ডায়াবেটিস নয়, বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন একজন মানুষ। স্থূলতার কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলোতে ঘর্ষণ লাগে। এতে করে শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়।
নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার : অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য নেওয়ার পরে অনেকে নাক ডাকেন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁরা বেশি নাক ডাকেন।
চিত হয়ে না ঘুমানো : যারা নাক ডাকেন, তাঁরা চিত্ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমাতে পারেন। চিত্ হয়ে ঘুমালে গলার পেশি শিথিল থাকে। ফলে নাক বেশি ডাকার আশঙ্কা থাকে।
মাথার নিচে দুটি বালিশ নেওয়া : মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। মাথার নিচে বালিশ দিলে বুকের চেয়ে মাথা বেশি উঁচুতে থাকে। এতে করে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়। কিভাবে মাথার নিচে দুটি বালিশ ব্যবহার করবেন দেখতে এখানে যান।
এছাড়া যে ভাবে ঘুমালে আপনার সঙ্গিনীর নাক ডাকানো কমে তাকে সে ভাবে সাহায্য করতে পারেন।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া : ধূমপান করলে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও নাক বেশি ডাকতে পারেন অনেকে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম : প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। ফলে অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়।
শরীরচর্চা : শরীরচর্চা করলে পেশি, রক্তের চলাচল ও হূিপণ্ডের স্পন্দন বাড়ে। শরীরচর্চা করলে ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।
তবে এসব উপায় অবলম্বন করার পরও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
__________________আল্লাহ সবাই কে ভাল রাখুন।__________________
0 মন্তব্যসমূহ